জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ৭৪ নাগরিকের

ফানাম নিউজ
  ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪
আপডেট  : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৬

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ হতাহতের বিচার দাবি করেছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীসহ শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের নিহত, আহত ও নির্যাতিত হওয়ার প্রতিটি ঘটনা স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে হবে। আর নিরপেক্ষতার জন্য জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হওয়া জরুরি।

সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা’।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে তারা লক্ষ্য করছেন যে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ১৬ জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্ররোচনায় তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের সহিংস কর্মীরা নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও তাণ্ডব চালিয়েছেন। শুরু থেকেই সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনকে সরকারি দল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে চেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীপক্ষও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতির নামে একে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা ছাত্র-জনতা হত্যা ও জনগণের সম্পত্তি বিনষ্টের নাশকতার পেছনে যেকোনো ধরনের অপরাজনীতির নিন্দা করছি। সরকারের বলপ্রয়োগে কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এবং খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় হতাহতের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। হতাহতের তালিকায় সংবাদকর্মীরাও আছেন।

বিশিষ্ট নাগরিকরা আরও বলেন, আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, আমাদের আশঙ্কা, সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের সংগঠনগুলোর আক্রমণে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক ব্যাপক, অনেক ভয়াবহ; যা ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমের ওপর সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে আমরা জানতে পারছি না। এত অল্প সময়ে কোনো একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বিপুলসংখ্যক হতাহতের নজির গত একশ’ বছরের ইতিহাসে (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বাদ দিলে) এ দেশে তো বটেই, এই উপমহাদেশেও মিলবে না।

তারা বলেন, এমন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা বা ধিক্কার ও প্রতিবাদের উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের। সাংবিধানিক শপথ ও আইন উপেক্ষা করে সরকারের একাধিক মন্ত্রী যেভাবে চরম দায়িত্বহীন ভাষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর তাদের সমর্থক ছাত্রদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানালেন, তাতে সারা দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের জনগণ ও দেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা স্তম্ভিত, গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা গভীর মর্মবেদনার সঙ্গে এও লক্ষ্য করছি যে, দেশের বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের জন্য জাতিসংঘের লোগোসংবলিত সাঁজোয়া যান রাস্তায় নামানো হয়েছিল। সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও অভিযোগমতে গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক তৎপরতার কারণে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী আমরা তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নাশকতার ঘটনার সময় তা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয়নি এবং সরকারি বাহিনীগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের এই ভূমিকার রহস্য উদঘাটন ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ যে প্রাণহানি, ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের কোনো তদন্ত না করে পুলিশ শুধুমাত্র নাশকতার মামলা দায়ের করে হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা লোককে আসামি করেছে, কয়েক হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে অসংখ্য নিরীহ নাগরিক, শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক-কর্মীদের কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও নিপীড়নমূলক। গণমাধ্যম থেকে এও জানা গেছে যে, এলাকা ভাগ করে পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী ‘ব্লক রেইড’ ও নির্বিচার গ্রেপ্তার করে জনমনে, পরিবারে, তরুণসমাজে সীমাহীন ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করেছে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার বদলে আরও জটিল ও অশান্ত হওয়ার ইন্ধন জোগাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।

এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ ও শিক্ষামুখী রাখতে কয়েকটি দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরছি। একই সঙ্গে দেশবাসীকেও কঠিন আত্মপ্রত্যয়ে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

দাবিগুলো হলো-

১. কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে পুলিশ, র‍্যাব, অন্যান্য বাহিনী বা সরকারের মদদপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শান্তিপ্রিয় নাগরিক, কিশোর-কিশোরী, এমনকি শিশু নিহত, নির্যাতিত ও আহত হওয়ার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের স্বার্থে তা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি। তাই আমরা জাতিসংঘকে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রকৃত দোষী যে-ই হোক, যত উচ্চপদাধিকারী বা যেকোনো দল-মতের হোক, তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ফলে যারা নিহত, গুরুতর আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি জাতির সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় শোক পালনের ঘোষণা দিতে হবে। এই ঘটনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কত লোক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার প্রকৃত সংখ্যা, নাম-পরিচয় সরকারকে অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।

৩. মানুষের জীবন অমূল্য। কোনো কিছুতেই এর ক্ষতিপূরণ হয় না। তারপরও সরকারের দায় মেনে নিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের সুচিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যারা চোখ, হাত, পা হারিয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

৪. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক, সংগঠক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের পুলিশের সাজানো অভিযোগে আটক ও গ্রেপ্তার করার যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, আমরা তাতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকসহ কাউকে কাউকে আটক করে যে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে, তা সংবিধানের লঙ্ঘন ও ফৌজদারি অপরাধের সমতুল্য। এসব অশুভ তৎপরতা বন্ধ করে, গণরুম ও টর্চার সেলকেন্দ্রিক নির্যাতনের অবসান ঘটানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এবং শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও আটক রেখে বিবৃতি আদায়, দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পুলিশ ও র‍্যাবের লাগামহীন হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

৫. স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কারফিউ তুলে নিতে হবে। দেশের ছাত্র-জনতাকে দমন-পীড়ন বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য যেসব সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় নামানো হয়েছে, অবিলম্বে তা নিজ নিজ স্থানে ফেরত নিয়ে যেতে হবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের ওপর সব সরকারি নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটাতে হবে এবং ভিন্নমতের মানুষকে হয়রানি ও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে।

পরিশেষে বিগত দিনগুলোতে পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সহিংস আক্রমণে যে শত শত ছাত্র-জনতা নিহত, আহত ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের স্মরণে, তাদের প্রতি সহমর্মিতা-সম্মান প্রদর্শনের জন্য একটি জাতীয় নাগরিক শোক সভা আয়োজনের জন্য আমরা দেশের সকল বিশিষ্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিকের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন-

১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকারকর্মী

২. হামিদা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী

৩. খুশী কবির, মানবাধিকারকর্মী

৪. ড. শাহদীন মালিক, আইনজ্ঞ ও সংবিধানবিশেষজ্ঞ

৫. রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী

৬. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ

৭. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ

৮. আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ

৯. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ

১০. মেঘনা গুহঠাকুরতা, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক

১১. জেড আই খান পান্না, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী

১২. ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকারকর্মী

১৩. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক

১৪. শিরিন হক, নারী অধিকারকর্মী

১৫. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইনজীবী

১৬. শামসুল হুদা, মানবাধিকার ও ভূমি অধিকারকর্মী

১৭. বদিউল আলম মজুমদার, গবেষক ও পর্যবেক্ষক

১৮. সারা হোসেন, আইনজীবী

১৯. পারভীন হাসান, অধ্যাপক

২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক

২১. মো. তানজিমউদ্দিন খান, অধ্যাপক

২২. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক

২৩. মুশতাক এইচ খান, অধ্যাপক

২৪. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক

২৫. ফিরদৌস আজিম, অধ্যাপক

২৬. বীনা ডি কস্তা, অধ্যাপক

২৭. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক

২৮. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক

২৯. রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক

৩০. নোভা আহমেদ, অধ্যাপক

৩১. নাভীদা খান, অধ্যাপক

৩২. স্বপন আদনান, শিক্ষাবিদ

৩৩. দীনা সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ

৩৪. নাসরিন খন্দকার, পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার

৩৫. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক

৩৬. ফারহা তানজিন তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক

৩৭. মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক

৩৮. রিজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক

৩৯. মো. সাইমুম রেজা তালুকদার, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক
৪০. সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী

৪১. তবারক হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী

৪২. শুভ্র চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী

৪৩. শরীফ ভূঁইয়া, আইনজীবী

৪৪. সাইদুর রহমান, আইনজীবী

৪৫. প্রিয়া হাসান চৌধুরী, আইনজীবী

৪৪. শারমিন খান, আইনজীবী

৪৬. নাসের বখতিয়ার, সাবেক ব্যাংকার

৪৭. আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক

৪৮. সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক

৪৯. সালিম সামাদ, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম অধিকারকর্মী

৫০. শারমিন মুরশিদ, মানবাধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষক

৫১. ফস্টিনা পেরেইরা, মানবাধিকারকর্মী

৫২. রুশাদ ফরিদী, মানবাধিকারকর্মী

৫৩. রেজাউল করিম লেলিন, গবেষক ও অধিকারকর্মী

৫৪. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী

৫৫. রেজাউল করিম চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী

৫৬. সাদাফ নুর, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী

৫৭. তাসনিম সিরাজ মাহাবুব, মানবাধিকারকর্মী

৫৮. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী

৫৯. রেহেনুমা আহমেদ, লেখক ও গবেষক

৬০. আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক

৬১. আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও লেখক

৬২. জাকির হোসেন, মানবাধিকারকর্মী

৬৩. মাহিন সুলতানা, মানবাধিকারকর্মী

৬৪. রোজিনা বেগম, গবেষক ও অধিকারকর্মী

৬৫. বারিশ হাসান চৌধুরী, গবেষক

৬৬. রেজওয়ান ইসলাম, গবেষক ও অধিকারকর্মী

৬৭. জাহানারা খাতুন, মানবাধিকারকর্মী

৬৮. ফজিলা বানু লিলি, অধিকারকর্মী

৬৯. আরিফা হাফিজ, মানবাধিকারকর্মী

৭০. ইশরাত জাহান প্রাচী, অধিকারকর্মী

৭১. দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী

৭২. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী

৭৩. মুক্তশ্রী চাকমা, নারী অধিকারকর্মী ও

৭৪. অরূপ রাহী, সাংস্কৃতিককর্মী