শিরোনাম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। ছাত্রলীগসহ কিছু ছাত্র-সংগঠনের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষকদের ওপরও ক্ষুব্ধ তারা।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্রিয় ছাত্র-সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো ‘শিক্ষামন্ত্রীর এক বার্তায়’ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেসমূহে নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্য ছাত্র-সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদরাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিছুক্ষণ পরই চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও স্থগিতের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের সব অনার্স কলেজও বন্ধের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।