শিরোনাম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোপে সারাদেশে গত ৭ দিন যাবৎ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে যেসব ট্রেন চলার কথা ছিলো সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এসব কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির জানান, বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল সময়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা ও ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ২টি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গভাবে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমন ঘোষণায় স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া রেলগেট এলাকায় কোট আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।