এলাকায় মৃত্যু সংবাদ পেলেই ছুটে যেতেন এমপি আনার

ফানাম নিউজ
  ২৩ মে ২০২৪, ১০:৪৯

আনোয়ারুল আজীম আনার। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়াামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘ বছরে তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য তার বেশ সুনামও রয়েছে।

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা শুনে সমাধান করতেন তিনি। তবে চলাচলের সময় কোনো পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার না করে একা চলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।

সবথেকে আলোচিত বিষয়, নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার বাড়িতে যেতেন এবং শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেন এমপি আনার। এমনও হয়েছে তিনি একদিনে ১০ জন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।

বুধবার (২২ মে) সকালে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতে তার মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়ার পর তার দলীয় কার্যালয়ে শত শত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।

১২ মে রোববার দুপুরে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য দর্শনার গেদে বন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতায় যান। সেখানে পৌঁছে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার অন্তর্গত মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ১৩ মে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

১৫ মে বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটসআপে ম্যাসেজ করে জানান তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৬ মে এমপির ব্যক্তিগত গাড়িচালক তরিকুল ইসলামের মুঠোফোনেও একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানান দিল্লি যাওয়ার কথা। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম আনার।

পরিবার ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল তার। তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানান উদ্বিগ্ন এমপি পরিবার। এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন এমপির পরিচিত ভারতের বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস।