শিরোনাম
তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সফরের শুরুতেই দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গুলশানের বাসায় এ বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে অংশ নেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ু কর্মীরা। এদের মধ্যে ছিলেন, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ু কর্মী সোহানুর রহমান এবং মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন।
জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশের নির্বাচন পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও এই বৈঠকে কয়েকজন বিদেশি কূটনৈতিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন, আমেরিকার দক্ষিণ ও এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টার।
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেন ডোনাল্ড লু। তার তিন দিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন লু।
ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ডোনাল্ড লু। গত শুক্রবার থেকে লু’র ছয় দিনের সফরের তথ্য জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ১০ থেকে ১৫ মে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লু’র সফরে সেটিই গুরুত্ব পাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন ডোনাল্ড লু। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।