শিরোনাম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকা শহরসহ সারা দেশে বনায়নের জন্য ন্যাশনাল গাইডলাইন প্রণয়নে প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যেসব বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে জায়গা খুঁজে বের করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ ও জলাশয় রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর মার্চ পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আশি নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু ও অভিযোজনমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার আটশ সতের কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী যথা সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।