শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি-বান্দরবানের এই তিনটি উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। তাই এই তিনটি উপজেলার নির্বাচন (উপজেলা পরিষদ নির্বাচন) স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সুবিধাজনক সময়ে এই তিন উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার জ্যেষ্ঠ সচিব, সচিব ও দপ্তরপ্রধানদের সঙ্গে এই সভা করে ইসি। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিব জাহাংগীর আলমসহ কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও সার্থকভাবে যাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সে জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কি অতৃপ্তি আছে, যে কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আরও ভালোভাবে করতে চান—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এখানে অতৃপ্তির বিষয় না। ওখানে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কম দিতে পেরেছিলাম। একসঙ্গে আমরা নির্বাচন করি বিধায় কোনো কেন্দ্রে একজন, কোনো কেন্দ্রে দুজন পুলিশ সদস্য দিয়ে থাকি। এই সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হবে। ওখানে আমরা পর্যাপ্ত বিজিবি দিতে পারিনি। এখানে উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করব। উপজেলা পর্যায়ে সর্বনিম্ন দুই ব্যাটালিয়ন এবং সর্বোচ্চ চার ব্যাটালিয়ন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। অর্থাৎ জনবলের সংখ্যা উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেব।’
সাধারণত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়, এই নির্বাচনে তার চেয়ে অধিকসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করার হবে বলে জানান ইসি সচিব।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা নেই বলে জানান ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সভায় গোয়েন্দা সংস্থার যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার রয়েছে বলে উল্লেখ নেই। তারা বলেছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যেহেতু অনেকগুলো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে, তাও আবার দলীয় প্রতীক ছাড়া। ফলে একই দলের একাধিক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যাঁরা নির্বাচন বর্জন করেছেন, তাঁদেরও কিছু কিছু অনুসারী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন আশা করে, একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৮ মে।