শিরোনাম
ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করলে অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে রক্ষা মিলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।
তিনি বলেন, খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন- বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থবোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপবোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বুশরা আফরিন। এই অতিরিক্ত গরমে জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ঢাকা শহরে আরও বেশি করে গাছ লাগানো এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিযুক্ত হওয়ার পর ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকায় পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘কুলিং স্পেস’ এর ব্যবস্থা করার জন্য সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দিয়েছি। যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। তবে নগরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।
শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গত এক বছরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকার অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ বস্তির জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে তাপপ্রবাহের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাদের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এর পাশাপাশি বস্তি এলাকায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এখন তারাই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি। যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণরোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।
বুশরা এশিয়ায় প্রথম চিফ হিট অফিসার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তাকে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রিটাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মনট্রে ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চিফ হিট অফিসার রয়েছে। বুশরার মতো তারা সবাই নারী। তাদের লক্ষ্য, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষকে চরম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করা।