শিরোনাম
অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি র্যাব সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র লুট করে পাহাড়ি উগ্রবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে তারা। পরবর্তী দিন ৩ এপ্রিল আবারও থানচি এলাকায় ব্যাংক লুট করার চেষ্টা করে তারা।
যে কৌশল অবলম্বন করে উদ্ধার
কমান্ডার মঈন বলেন, অপহৃত সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে একেবারে সুস্থ ও নিরাপদে উদ্ধারে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এখানে মধ্যস্থতার কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করে র্যাব।
তিনি বলেন, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের পরিবার ও আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে কেএনএফ ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
কী কৌশলে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশল থাকে। এর মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।
কোথা থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের পাশের একটি জায়গায় র্যাবের মধ্যস্থতায় কেএনএফ সদস্যরা ম্যানেজারকে রেখে যায়। মূলত তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ ও নিরাপদে উদ্ধারের জন্য র্যাব সদস্যরা কোনো ঝুঁকি নেননি।
গত দুই দিনে সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট, মোবাইল লুট ও ১৪টি অস্ত্র লুটসহ বিভিন্ন অপরাধ তারা করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তারা স্থানীয় বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয় চা দোকানে থাকা ব্যাংক ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ভল্টের চাবি ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তারাবি নামাজের জন্য মসজিদে থাকা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে চাবির অপর গোছাটি না পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।