শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন মানে ছেলেখেলা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়, স্থানীয় সরকার পরিচালনার বিষয়। সেখানে নিয়ম করেছিল যে কেউ চাইলেই যেন প্রার্থী হতে না পারে। এজন্য প্রার্থী সমর্থনে সই নেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থি। এছাড়া যারা সমর্থন দেন তারা অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হন। এ ধরনের অভিযোগ আছে। তাই আমরা সেটা তুলে দিয়েছি। সমর্থন দেখানোর জন্য প্রার্থীরা ছলচাতুরি মিথ্যার আশ্রয় নিতেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, প্রার্থী নিজেই ডান হাত, বাম হাত মিলিয়ে সই করতেন। এ ধরনের আইন কেন থাকবে যা ন্যায়ের পক্ষে না? তাই তুলে দিয়েছি। এটা অন্যায় করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে। আমরা এটা তুলে দিয়েছি আমাদের ক্ষমতা ছিল। এখন সংসদ নির্বাচন থেকে তুলে দিতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে। এজন্য পার্লামেন্টে যেতে হবে। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। আমরা মনে করবো আলোচনার পর। আলোচনাই তো হয়নি।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, কোনো দল থেকে প্রার্থী না দিলে স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে কারো সমর্থনসূচক সই লাগবে। জেনে-বুঝে গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য সহায়ক সেটা তো করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল সুবিধা দেওয়ার জন্য নয়। তাহলে তো সংসদেও করতাম। পৃথিবীর অনেক দেশেই তৃণমূলে রাজনৈতিক নির্বাচন হয়। আমাদের এখানে সেটা আগে ছিল না। পরে এখানেও করা হয়েছিল। হয়তো ভালো দিক চিন্তা করেই করেছিল। এখন হয়তো তারা মনে করছে অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে।
জামানত প্রসঙ্গে ইসি বলেন, জামানত অনেক আগের করা। সংসদেও হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছি। সামনের কমিশন আসবে তারা হয়তো করবে। আমাদের সময় জাতীয় নির্বাচন তো হবে না। কাজেই অনেক সময় আছে। প্রাথমিক রিপোর্ট আমরা দেখেছি। আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। এখন সামারি করার জন্য বলা হয়েছে। সচিবালয় খসড়া করেছিল, আমরা বিস্তারিতভাবে আবার করতে বলেছি। এক্ষেত্রে পর্যালোচনা করে পরবর্তী কমিশনের জন্য সাজেশন রেখে যাবো। তারা টোটাল নির্বাচন নিয়ে মতামত দিয়েছে। প্রার্থী, দল, সরকার, ভোটকেন্দ্র নানা বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা কেবল আমাদের দিকটা দেখবো। তারা যে সুপারিশ করেছে সেটা করা যায় কি না আমরা দেখবো। যেগুলো আমাদের জন্য করা সম্ভব সেগুলো পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাবো।
জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে বেশ কয়েকটা কেন্দ্রে, যেখানে কমিশন ব্যবস্থাও নিয়েছে। যদি বলতো কমিশন অবহেলা করেছে, এমন তো বলেনি। তারা কমিশনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু বলেনি, যে কমিশনের এমন সক্ষমতা ছিল অথচ ব্যবস্থা নেয়নি। অথবা কমিশন এখানে ভোটের এসব কেন্দ্রগুলোতে জাল ভোট হয়েছে কিন্তু কমিশন বন্ধ করেনি, এমন কোনো রিপোর্ট নেই। বরং কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে আছে। প্রশাসনে রদবদল করেছে এগুলোও আছে। এখন টোটাল গণতান্ত্রিক বিষয় তো আর নির্বাচন কমিশন দেখে না।