শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষ সপ্তাহে ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরে আসতে পারেন। ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা (সংসদের নিম্নকক্ষ) নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন। শেখ হাসিনার সফরের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ সফর হলে তা হবে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ইতোমধ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক দূত মারফত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছানো হয়েছে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
সেই বৈঠক সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, হাইকমিশনার ভারত সরকারের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ সফরকে যেন রুটিন সফর হিসেবে না দেখে ‘যুগান্তকারী ফলপ্রসূ’ সফর করে তোলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হতে পারছে না। পরিবর্তে বাংলাদেশের প্রান্তে তিস্তা অববাহিকায় জলাধার নির্মাণ ও নদীর পলি উত্তোলন করার প্রকল্প প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে রাখা।
কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ভারত সরকার এ প্রস্তাবটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। প্রয়োজনে নতুন লাইন অব ক্রেডিট মঞ্জুর করে এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করা যেতে পারে। এ অংশটি বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে, তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘তিস্তা উপত্যকায় কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব এসেছে। চীন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার। তার পরই অগ্রগতি হবে।’
এ বিষয়ে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র সহেলি সাব্রিন বলেছিলেন, ‘এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি স্বীকার করেন, ‘এ ধরনের প্রস্তাব রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং আর্থিকবিষয়ক বিভাগ বিচার করবে।’
২০২০ সালেই চীন তিস্তা উপত্যকায় জলাধার নির্মাণসহ বাঁধ নির্মাণ বিষয়ে ঢাকাকে প্রস্তাব দেয়। এতে ভারতের কোনো ভূমিকা থাকবে না। বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের পর সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তিসহ সুসংহত আর্থিক চুক্তি, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন এবং প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত সহযোগিতা আলোচনার জন্য উঠতে পারে।