শিরোনাম
সবাইকে ত্যাগের মহিমা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, রোজার মাসে কারো লোভে ভোক্তারা যেন কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’।
ভোক্তা সাধারণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এ বছর পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ভোক্তা ও সেবা গ্রহীতাদের অধিকার সমুন্নত রাখতে দেশবাসী সচেতন হবেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে ফলপ্রসূ অবদান রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভোক্তা-অধিকার একটি সর্বজনীন ও ন্যায্য অধিকার। নিয়মমাফিক ও আইনানুযায়ী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদান মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে। এ লক্ষ্যে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকার ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের জনসাধারণের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ ধরে দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট ভোক্তা ও স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।