শিরোনাম
ট্রাস্ট করে দেশ ও বিদেশের বিপন্ন প্রায় ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রম, বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনটি ২০১০ সালে প্রমাণিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভাষা শিক্ষা এবং যে ভাষাগুলো বিলীন হয়ে হয়ে যাচ্ছে সেগুলো সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণাধর্মী কাজকর্ম করার জন্য বলেছিলেন।
সে জন্য একটি ট্রাস্ট করতে বলেছিলেন। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজগুলো পরিচালিত হবে। সে জন্য ওই বিষয়টি আইনে সন্নিবেশিত করার জন্য এটা আনা হয়েছে-বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, এখানে মূল কাজ হবে বর্তমানে যে জিনিস আছে সেখানে কাজের যে তালিকা আছে সেই তালিকা তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রাস্ট সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান কাজ সংক্রান্ত কাজ এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, যে ট্রাস্টি হবে সে ট্রাস্টের মাধ্যমে বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা আন্দোলন বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা, বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা গবেষণা ও ভাষা শিক্ষা বিস্তার উদ্দেশ্যে বৃত্তি বা ফেলোশিপ অনুদান, প্রশিক্ষণ প্রদান। অনুরূপ কার্যবলী সম্পাদন করা।
তিনি আরও জানান, দেশ-বিদেশের বিপন্ন প্রায় লিখন বৃত্তি বিহীন ভাষাসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রম, বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা প্রদান। এ কাজগুলো করার জন্য ট্রাস্ট গঠিত হবে এবং এ ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজটি হবে।
এদিকে মন্ত্রিসভায় খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ ট্রাস্ট তিনটির চিফ এক্সিকিউটিভ যিনি হবেন তার পদের নামটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে সচিব লেখা ছিল, এখন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে লেখা থাকবে।