শিরোনাম
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের কিরুদ্ধে ছাত্রীর ‘শ্লিলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। একই সঙ্গে তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন একাধিক ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
শিক্ষক মুরাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা। এদিকে, শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ হোসেন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামির পক্ষে মেহেদী হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লালবাগ থানায় শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলা হয়। তিনি ভিকারুননিসার আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক।