শিরোনাম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে বলে আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনে বেশির ভাগই নতুন মুখ সংসদ সদস্য হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এবং এর মধ্যে দু-একজনের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার বিষয়েও আলোচনা রয়েছে। সংরক্ষিত আসনের প্রত্যাশীরা নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নারীনেত্রীরা আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় ও নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপের বিষয়েও গুঞ্জন উঠেছে সর্বমহলে।
ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন ফর্ম তুলে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনার মধ্যমণি হয়েছেন পারভীন সুলতানা।
জানা যায়, পারভীন সুলতানা বঙ্গবন্ধুর পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জেরই সন্তান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক পরিবার তথা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
দেশ ও নারী জাতির কল্যাণে বলিয়ান হওয়া পারভীন সুলতানা বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের সুযোগে টেকসই কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ গড়তে বঙ্গতনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সর্ব মহলের ভালোবাসাই আমার প্রেরণা। দেশ ও সাধারণ মানুষের জন্য আত্মত্যাগের ভাষাটা ছোটবেলা থেকেই বাবা হারানোর কষ্ট থেকে অনুভবে শিখেছি। আরও বেশি অনুভব করতে পেরেছি মানুষের জন্য দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করা আমার জীবনসঙ্গী বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সফল সভাপতি, ডাকসুর সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসারের কাছ থেকে।
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রুপকার বঙ্গতনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লিঙ্গ সমতা, প্রতিবন্ধী এবং নারীর ক্ষমতায়নে শুধু বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়, বরং টেকসই উন্নয়নের ২০৩০ সালের এজেন্ডা- এর লক্ষ্যে দেশ গড়ার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষে জন্য ভালোলাগার জায়গা থেকে কাজ করে এসেছি। এখন সরকারের একজন দায়িত্ব পালনকারী জনগণের সেবক হয়ে বৃহৎ পরিসরে মানুষের সেবা করার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে আমার নেত্রীর দোয়া চাই। এছাড়াও আমি মনে করি দেশের জন্য নিজের জীবনকে উজাড় করে দেওয়াটাই হচ্ছে প্রকৃত মানব জীবনের বড় স্বার্থকতা।
এমপি হয়ে নারীদের জন্য কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একজন নারী, দীর্ঘদিন নারী উন্নয়ন সমিতির সাথে কাজ করার সুবাদে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারি নারীদের বলতে না পারা অসুবিধা ও কষ্টগুলো। জনগণের ভালোবাসায় নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণায় আমি মনোনয়ন ফর্ম তুলেছি। আমাকে যদি দল থেকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়, তবে আমার এলাকায় সর্বস্তরের অগ্রগামী নারীদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে মাস্টারপ্ল্যানে কাজ করবো।