শিরোনাম
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদশে রাশিয়ার বিনিয়োগ আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. হাছান মাহমুদ একথা জানান।
রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার অর্থায়নে ও টেকনোলজিক্যাল সাপোর্টে আমরা নির্মাণ করেছি। খুব সহসা এটি উৎপাদনে যাচ্ছে। আমরা নিউক্লিয়ার নেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি তাদের সহায়তায়।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে রাশিয়ার ব্যাপক অবদানের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া তৈরি পোশাক, পাটসহ নানান পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে গম, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে। দুই দেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি এমওইউ সহসা সইয়ের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্যের বিষয়ে অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনা চলমান। ভারতের সঙ্গে আমরা কিছুটা শুরু করেছি। রুবলে বিনিময়ের ব্যাপারে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এটি যদি আমরা করতে পারি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে, তাহলে নির্দিষ্ট কোনো মুদ্রার ওপর আমাদের নির্ভরতা কমবে। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অবশ্যই সহায়ক হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল সংসদের প্রথম অধিবেশন ছিল। ওই অধিবেশনে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইইউ, চীন, ফ্রান্স, জার্মানির রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।’
শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ ও জঙ্গি ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না – এ সংক্রান্ত আদালতের এক নির্দেশনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘এই রায় দেওয়াতে যথেচ্ছভাবে বিভিন্নজনকে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ হবে।’