‌‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র’

ফানাম নিউজ
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সাক্ষাৎকালে কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড/কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এ মেলা।

তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলায় অনেক বিদেশি প্যাভিলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হবে।

যেসব পণ্য যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প-কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।

তিনি উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদার খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের ওপর জোর দেন।