শিরোনাম
সৌদি আরবের পথে রওনা হওয়ার পর ককপিটের কাচে (উইন্ডশিল্ড) ফাটল দেখা দেওয়ায় ২ ঘণ্টা বাদে ২৯৭ আরোহী নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি দাম্মাম যাচ্ছিল। ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন তানিয়া রেজা, যিনি সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের স্ত্রী।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, ককপিটের কাচে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ক্যাপ্টেন সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে আছেন। বিমান বাংলাদেশ জানায়, বিমানের বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি শনিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে দাম্মামের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে দিল্লির আকাশে থাকা অবস্থায় ফ্লাইটের ককপিটের উইন্ডশিল্ড (প্লেনের সামনের অংশের কাচ) ফাটল দেখা দেয়। পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
বিমান জানায়, ফ্লাইটটিতে ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে রয়েছেন। যাত্রীদের রাতে হোটেলে রাখা হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় তাদের অন্য আরেকটি ফ্লাইটে দাম্মাম পাঠানো হয়েছে বলে জানান তাহেরা খন্দকার।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-এর ককপিটের কাচ ফেটে গেলে সেটিকে মালয়েশিয়ায় গ্রাউন্ডেড করা হয়। একই বছরের আগস্টে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার মাঝ আকাশে একই সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটিকে ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে উড়োজাহাজের ভেতরে চাপ কমে গিয়ে সেটি ভারসাম্যহীন হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে। গত ১৩ জানুয়ারি জাপানের অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) অভ্যন্তরীণ রুটের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ ওড়ার পর মাঝ আকাশে পাইলট উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখতে পাওয়ায় সেটি আবার হানেদা এয়ারপোর্টে ফেরত আসে। ফ্লাইটটির ৫৯ যাত্রী ও ৬ জন ক্রুর সবাই অক্ষত ও নিরাপদে ফেরেন।
এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে চীনের সিচুয়ান এয়ারলাইন্সের একটি একটি এয়ারবাস-এ ৩১৯ উড়োজাহাজ ৩২ হাজার ফুট উপরে ওড়ার সময় এর উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়। বাতাসের প্রচণ্ড চাপে কো-পাইলট উড়োজাহাজের বাইরে অর্ধেক বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে উড়োজাহাজটিকে চেংদু বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন পাইলট। সেই যাত্রায় ১১৯ যাত্রীর কেউ আহত হননি।