‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে এডিবি খুবই খুশি’

ফানাম নিউজ
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪০

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি জানান, এতে এডিবি খুবই খুশি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন। কান্ট্রি ডিরেক্টরের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এডিমন গিনটিং বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী এডিবি আগামীতেও একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কাজ করতে আগ্রহী আমরা।

তিনি আরও বলেন, এডিবি কক্সবাজারে জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পে আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য জেলাগুলোতেও তাদেরকে একই কাজের অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে আগামীতেও এডিবির সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

গত বছর সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এডিবির প্রতিশ্রুতি পৌঁছানোয় শেখ হাসিনা তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক খাতে মূল্য সংযোজন প্রকল্প গ্রহণের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ক্রমাগত সহায়তার জন্যও এডিবিকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ লজিস্টিক অবকাঠামোর উন্নতি, অর্থনীতির গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জের চাহিদা পূরণে এবং পরিষেবা সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনুরোধ করেন। জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু জরুরি অবস্থার কারণে বাংলাদেশ এডিবির জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ পাওয়ার আশা করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পাইপলাইনে বেশ কয়েকটি বাজেট সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা এবং একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ ভবিষ্যত রূপকল্প বাস্তবায়নে এডিবি সহায়তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলদেশের বর্ধনশীল অর্থনীতিকে এডিবি বড় ধরনের সহযোগিতা দিয়ে ডিজিটাল গ্যাপ কমিয়ে দেবে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আশা করে বলেন, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবি বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা পাইপলাইনে রাখবে যাতে বাংলাদেশ প্রয়োজনে অবিলম্বে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।

উল্লেখ্য, বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। ১৯৭৩ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশকে ৩১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। আর এসময়ে বাংলাদেশের প্রতি এডিবি’র প্রতিশ্রুতি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।সূত্র: বাসস।