শিরোনাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১১ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এম এ ওয়াহেদকে পাপুয়া নিউগিনির নাগরিক অভিযোগ করে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ময়মনসিংহ-১১, ভালুকার স্বতন্ত্র এমপি এম এ ওয়াহেদের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট ও শপথ বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের রুল এবং ডিরেকশন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন’-এ এসব অভিযোগ করেন কাজিম উদ্দীন।
তিনি বলেন, পাপুয়া নিউগিনির নাগরিক এম এ ওয়াহেদের প্রার্থিতা এবং নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আমার পক্ষের আইনজীবী একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত বুধবার এ রিটের শুনানি হয় এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ইকবাল কবির এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচন কমিশনকে এম এ ওয়াহেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রার্থিতা এবং অযোগ্যতার অভিযোগের তদন্ত কেন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনী গ্যাজেট কেন স্থগিত করা হবে না এবং কাজিম উদ্দিন আহমেদকে কেন সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। এ মর্মে একটি রুল জারি করেছেন। এছাড়া হাইকোর্ট ডিভিশন নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
সংবদ সন্মেলনে কাজিম উদ্দিনের আইনজীবী রাগিব কবির বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং নাগরিকত্ব আইন অনুসারে যেসব দেশ দ্বৈত নাগরিকত্বের তালিকায় নেই, সেসব দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের কারণে নিজ দেশের নাগরিকত্ব সঙ্গে সঙ্গে খারিজ হয়ে যাবে এবং বিদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে নতুন করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে হয়। উনি সেটা নেননি। তাই তিনি অবৈধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা প্রমাণ হিসেবে ওয়াহেদ সাহেবের পাপুয়া নিউগিনির পাসপোর্ট নম্বর ও তার ট্রাভেল স্টোরি জমা দিয়েছি ইসিতে। আশাকরি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ইমোতে মেসেজ করলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।