শিরোনাম
নতুন সরকার গঠনের পর বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তাপস এ মন্তব্য করেন।
তাপস বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কখনো পেঁয়াজ, কখনো আলু, কখনো ডিমের মতো নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না মন্তব্য করে তাপস বলেন, একসময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় অনেক বেড়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মানুষের দোরগোড়ায় যাতে করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে তখনই তিনি ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়। যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এসব কারসাজি করে আসছেন। শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একমাত্র শেখ হাসিনাই এসব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সবার জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফীর সহযোগিতায় ২ হাজার মানুষের মধ্যে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ফজলে নূর তাপস আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ডেমরার শুকরসী খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।