শিরোনাম
রাজধানীর গোপীবাগে আগুন লাগা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এখন পর্যন্ত চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কয়জন আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১১টার পর এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কনেল মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ্য হই। আটটি ইউনিট কাজ করেছে। আমরা এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত চারটি লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার কার্যক্রম শেষে কতজন হতাহত হলো- সেটা সম্পূর্ণ বলা যাবে। এখন আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
মোট চারটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি কোনো দুর্বৃত্ত কর্তৃক আগুন ধরিয়ে দিতে পারে, আবার ইলেকট্রিক শর্ট-সার্কিট থেকেও হতে পারে। তদন্তের পর সম্পূর্ণ আমরা জানতে পারবো।’
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে বলতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসার আগেই যারা অল্প দগ্ধ হয়েছেন তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এসে চারটি মৃতদেহ পেয়েছি, সেগুলোকে উদ্ধার করেছি। এদের নাম পরিচয় পরবর্তী সময়ে জানা যাবে।’
নিখোঁজদের খোঁজে কোনো আত্মীয়-স্বজন এসেছেন কি না- এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো পরিবার এখনো আমাদের কাছে বলেননি। উদ্ধারকার্য চলছে, এরমধ্যে যদি কেউ বলেন, আমরা আরও খুঁজে দেখবো।’
এর আগে রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সাতটি ইউনিট।
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।