শিরোনাম
দেশে এখন কোনো ভালো বিরোধী দল নেই। আর বিরোধী দল হিসেবে যে দলটি আছে তারা গণতন্ত্রচর্চার পরিবর্তে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে লিপ্ত। সম্প্রতি দলটি আন্দোলনের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যাসহ ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়েছে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থেই আসন্ন নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উৎসাহী করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে ভোটের লড়াইয়ে সম্পৃক্ত করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে ৬০ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের পর ক্ষমতায় আসা দলকে সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে নির্মূলের পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের এদেশে বসবাসের কোনো অধিকার নেই। কারণ, এই অপশক্তি এখনো বলে বেড়ায় যে পাকিস্তানি আমলই ভালো ছিল। তাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যারা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে তাদের বিতাড়িত হবে এবং যারা উন্নয়নের রাজনীতি করে তারাই টিকে থাকবে। নির্বাচনী প্রচারণা সংগীতের উদ্বোধনী আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘ভোট দেবো সবাই’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ’৭১-এর চেতনায় লিভার বিশেষজ্ঞ ক’জনা শীর্ষক সংগঠন।
ভোট দেবো সবাই/‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’ শীর্ষক নির্বাচনী সংগীতটি লিখেছেন ডা. শেখ মোহাম্মদ নূর-ই আলম। মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন সাইফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে মিউজিক ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিশিষ্টজনরা।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, যেই নির্বাচনী সংগীতটি রচিত হয়েছে মূলত সেটি একটি দেশপ্রেম ও গণজাগরণের গান। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্তারের গান। এই গানকে সর্বমহলে ছড়িয়ে দিতে পারলে জয় বাংলা শব্দটির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাবে না। কারণ, এই গানের ভাষা একইসঙ্গে শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হলেন একাত্তরের পরাজিত শক্তির পক্ষের মানুষ। প্রকৃত অর্থে তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী এক পাকিস্তানি চর।
শ্যামল দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেও গান পছন্দ করতেন। তাই এই নির্বাচনী সংগীতটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো ভালো বিরোধী দল নেই। বিরোধী দল হিসেবে যারা রয়েছে তারা পুলিশ হত্যা এবং সাংবাদিকদের পেটানোসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে ৬০ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিজয়ী করতে হবে।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরেও আমাদের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। সেই পথরেখায় অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মামুন আল মাহতাব বলেন, আগামী নির্বাচন শেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূলের উদ্যোগ নিতে হবে ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাওয়া দলকে। দেশের মৌল চেতনায় অবিশ্বাসী এই অপশক্তিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, দেশের উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসী এই অশুভ শক্তির এদেশে বসবাসের কোনো অধিকার নেই।