শিরোনাম
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মেনে নির্বাচনে না এসে একটি দল অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না। প্রতিদিনই ককটেল নিক্ষেপ করছে, গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে, মানুষের সম্পদ নষ্ট করছে। তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।’
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মানববন্ধনের বিষয়ে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে বিভিন্ন যায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলাচলে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপ্রতির বাস ভবনে হামলা করেছে। তারাই এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না। প্রতিদিনেই ককটেল নিক্ষেপ করছে, গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে, মানুষের সম্পদ নষ্ট করছে। যারা নাশকতা মামলার আসামি, গাড়ি পোড়ানোর মামলার আসামি, প্রধান বিচারপ্রতির বাসভবনে হামলা মামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যা মামলার আসামি- তাদের অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
বিএনপি যদি অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করা চেষ্টা করে, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যদি কোনো দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে জোর করে এসব মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে রুটিন কাজ, বিভিন্ন মামলার আসামি, ওয়ারেন্টের আসামি- তাদের গ্রেফতারে আমাদের কোনো বাধা নেই।’
মানববন্ধনের বিষয়ে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অনুমতি নিয়েছে কি না বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মেনে তারা তো নির্বাচন করছে না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তোয়াক্কা করবে কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা নির্বাচন না করে নির্বাচনকে বানচাল করতে, বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করছে। তাই আমরা মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে- সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত কাজ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করা।’