শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি যদিও তিনি জানেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছেন। গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, সেটার প্রতিবাদ করেছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আমাদের যে অঙ্গীকার, ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে যে আমাদের অবস্থান- সেটা তাকে পুনর্ব্যক্ত করেছি।
‘আমরা মনে করি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, অন্য কোনো কিছু নয়। আমরা টু-স্টেইট পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এটি অবশ্যই প্রয়োজন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) তার আলোচনায় আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেসব ফিলিস্তিনি ডাক্তারি পেশায় পড়াশোনা করে গেছেন, সেখানে কীভাবে কাজ চালাচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা মনে করি একবিংশ শতাব্দীতে গাজায় যেভাবে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং পৃথিবী বসে বসে তাকিয়ে আছে। গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, পুরো পৃথিবী বসে বসে সেটি দেখছে। যারা বসে বসে দেখছে, যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং ইসরাইলের পক্ষে অবলম্বন করছে। আমি মনে করি মানবতা নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আশা করব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবার কানে ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ পৌঁছাবে। সেখানে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং ফিলিস্তিনের শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।