শিরোনাম
পারিবারিক সমস্যা সমাধানে বসার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে নোটিশ দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নোটিশ দেওয়া হয়।
আর এই নোটিশের বৈধতা নিয়ে রিট করেন ওই ব্যক্তি। রিটটি বৃহস্পতিবার সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ২২ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী নুরুল আকরামকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে ২৩ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় উপস্থিত হতে বলা হয়। এর বৈধতা নিয়ে তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আদালতে উপস্থিত আইনজীবী এস এম শাহজাহানের বক্তব্যও শোনেন আদালত।
শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘যাঁরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের কাছে কেউ যদি গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁরা যদি অপর পক্ষকে বলেন, আসুন, মীমাংসার জন্য বসি, তাহলে ভুলটা কোথায়? এতে যাকে নোটিশ দেওয়া হলো, তার মৌলিক অধিকার খর্ব হলো কোথায়? তারা কি ডিক্রি জারি ও ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। তারা কি সালিস না মানলে ঘর হতে বের হতে দেব না বলে? যদি তা না হয়, তাহলে ভালো উদ্যোগকে আপনি চ্যালেঞ্জ করবেন কেন?’
আদালত আরও বলেন, ‘ওঁনারা আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অপর পক্ষকে ডাকেন। যদি মনে হয়, বেআইনিভাবে নোটিশ দিয়েছেন, তাহলে যাবেন না। বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও আইনি সহায়তা নিয়ে কাজ করে। তারা তো কোনো দণ্ড দিচ্ছেন না। একটি উদাহরণ দেখান, তাঁরা একতরফা সালিস করেছেন। যদি না যান, আর একতরফা সিদ্ধান্ত দিলে সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। এটি তো লিগ্যাল এইডের মতো কাজ। আপনার পছন্দ হতে পারে, না–ও হতে পারে। পছন্দ হলে যাবেন, পছন্দ না হলে যাবেন না।’