বস্তিতে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের জন্য কোটি টাকা বৃত্তি ঘোষণা আতিকের

ফানাম নিউজ
  ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১৭

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রতি বছর ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। আমি কয়েকদিন আগে কড়াইল বস্তি ও ভাসানটেক বস্তি পরিদর্শন করেছি। এই শহরের মেয়র হিসেবে আমি বলতে চাই– পুনর্বাসন ছাড়া কোনো বস্তি উচ্ছেদ হবে না। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।’

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপির সহযোগিতায় আয়োজিত ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে ঢাকা উত্তরের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আজকের এ অনুষ্ঠানে জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে অনেকে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন সেগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য এ পলিসি ডায়ালগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সমস্যার কথা জলবায়ু সম্মেলনে তুলে ধরবো। জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতা ও বিশ্বের মেয়রদের কাছে তুলে ধরবো আপনাদের বক্তব্য। বিশ্বনেতাদের কাছে যে বার্তা দিতে চাই, তা হলো– আমাদের থাকার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা, সুস্থ বায়ুর ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার চেষ্টা করছে। আমাদের সঙ্গে কাজ করছে বিভিন্ন এনজিও। কিন্তু আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান করবো, তারা যেন এগিয়ে আসে। যাদের জন্য আজকের লবণাক্ত পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জনজীবন বিপন্ন, যাদের জন্য উত্তরবঙ্গে পানিস্তর নিচে নেমে গিয়েছে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফোরামের কাছে প্রশ্ন রাখবো, ঘূর্ণিঝড়ে, জলোচ্ছাসে, বন্যায়, খরায় কিংবা নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের দায়িত্ব কে নেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই দায়িত্ব উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে। আমরা দ্রুতই ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করবো। আমি ইউএনডিপিকে (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) অনুরোধ করবো এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার। এখন আমাদের তথ্য দরকার কতজন লবণাক্ততার জন্য আসছে, কতজন নদীভাঙনের জন্য এসেছে, কতজন বন্যা ও খরার জন্য এসেছে। তাদের এ তথ্যগুলো উন্নত বিশ্বের কাছে তুলে ধরবো।’

ডিএনসিসির সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ববির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন– ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারত্ন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক টিম লিডার এলেক্স হার্ভে, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, স্থপতি সালমা এ শফি, ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।