শিরোনাম
নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সংকটে আছে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, এখান থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে সমানভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) নগরীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। আমরা বৃদ্ধ হয়ে গেছি আপনারা এখনও ইয়াং। দেশ ও জাতি একটা জেনারেশন নিয়ে থেমে থাকে না। আমেরিকার গণতন্ত্র ২৫০ বছরের বিলেতের গণতন্ত্র ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের। আমাদের গণতন্ত্র নতুন কিন্তু মাঝে মাঝে থাক্কা আসে যেমন সামরিক শাসন। সাংবিধানিকভাবে আমরা ৫০ বছর স্থিরভাবে টেকাতে পারিনি। কিন্তু আমরা চাইবো শাসনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা টিকে থাকুক। আমাদের সবাইকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সিইসি বলেন, বিচার বিভাগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বাধীনতা ও স্বাধীন সত্তা, সাহস এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা হয়তো পুরোপুরি সেটি নেই। তারপরও দেশের মানুষ এখনো স্বাধীন কর্মচারী হিসেবে যাদের বিবেচনা করেন তারা হলেন বিচারক। তারা এখনো কিছু হলে বলেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় তার মানে এখনো মানুষের আস্থা আছে বিচারকদের ওপর। কারণ, আমরা যখন প্রশাসনে কাজ করি তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার বলি। সহকারী জজ ও মহামান্য প্রধান বিচারপতির কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মহামান্য প্রধান বিচারপতি কোনো দিন সহকারী জজকে বিচারিক কাজে কোন ধরনের নির্দেশ দিতে পারেন না। কিন্তু একজন সচিব সহকারী সচিবকে নির্দেশ দিতে পারেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, নির্বাচনে কোনো কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না। আমরা সাম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি। ওখানে সিল মারা হয়েছে সেটা প্রতিহত করতে পারিনি, এটা লজ্জাকর। সিল মারাটাও কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে এটা কিন্তু মন্দের সংস্কৃতি। একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে আসছে এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন এককভাবে হয় না। নির্বাচন কমিশন সবার সঙ্গে একটা ভালো নির্বাচন করে। একটা ভালো নির্বাচন করতে হলে সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। ভোট গণনা করা হবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। পোলিং কাজে সবাইকে চোখ রাখতে হবে। ভোটে কোনো ম্যানিপুলেশন যেন না হয়। সত্য ও সঠিকভাবে ভোট ঘোষণা করতে হবে। ফলাফল যেন অবিতর্কিত হয়।