শিরোনাম
বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি তাদের দুই রাষ্ট্রের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন রাশিয়া বিবৃতি দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেটির জবাবও দিয়েছে। সেটি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সেটি দুই রাষ্ট্রের বিষয়। কেউ ছুটিতে যেতে পারে আবার ছুটি থেকে ফিরেও আসতে পারে। এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি না। এটি রুটিন কাজের অংশ।
ড. হাছান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পাশাপাশি বহুমাত্রিক সম্পর্কও আছে। আমরা সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন নির্বাচনে বাইরের থাবা এসে পড়েছে এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে৷ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কিমশন চায় দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। আমরাও সেটি চাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এরই মধ্যে সারাদেশে নির্বাচনের যেভাবে সাড়া পড়েছে যেভাবে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবারের নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো যারা এখনো নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি তাদের অনেকেই শিগগির ঘোষণা দেবেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে দমন-পীড়ন চলছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। ফলে তাদের নিয়ে আমি তেমন কোনো কথা বলতে চাই না। দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে আর আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু বিবৃতিজীবী আছে। দেশে যে এত এত গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে এসব নিয়ে তো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিবৃতি দেয় না।
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যখন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিবৃতি দেয়, গাজায় হত্যাকাণ্ডে চুপ থাকে আর বাংলাদেশে কেউ কাউকে ঘুসি মারলেই বিবৃতি দেয়, তখন এসব বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।