শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই ‘আত্মস্বীকৃত খুনি’কে নিয়ে বাংলাদেশ হয়তো আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারে। সম্ভবত ২০২৪ সালের জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যত দ্রুত সম্ভব তাদের ঢাকায় ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে এই তত্ত্ব কাজ করবে, যার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। তবে প্রক্রিয়াটি কঠিন হতে চলেছে। এর পুরোটাই বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার কিছু উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক কৌশলের সঙ্গে জড়িত যেখানে খুনিরা লুকিয়ে আছে।
মার্কিন ও কানাডার আইন কি তাদের নিজ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেবে যদি তাদের মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে? এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান বিতর্ক ঢাকার জন্য বড় সুযোগ বিশ্বকে মনে করিয়ে দেওয়ার যে বাংলাদেশের একজন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি এখন পর্যন্ত বিচারের হাত থেকে পালিয়ে আছেন এবং তাদের অবশ্যই ফিরে আসতে হবে।
এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে সহযোগিতা করতে পারে। এমনটি আগেও ঘটেছে এবং আবারও ঘটতে পারে, এমন উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। নয়াদিল্লি বাংলাদেশের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়কেই চাপ দিতে পারে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ভারত ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি গোপন, যৌথ অভিযানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি ও বাংলাদেশ আর্মির সাবেক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০২০ সালের এপ্রিলে মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দিল্লির রাজনৈতিক সচেতনরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে গোপন অভিযান বাড়বে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বিদ্রোহী নেতাদের নির্মূল করতে প্রতিবেশীর সাহায্যের প্রয়োজন হবে যারা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে প্রায়ই বাংলাদেশে পাড়ি জমায়।
কিন্তু তারপর, কোটি টাকার প্রশ্ন হলো কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি এখন এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে? নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, বিষয়টি নতুনভাবে মার্কিন বিচারমন্ত্রী অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড এবং কানাডার আইনমন্ত্রী আরিফ ভিরানির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এর ফলে ঢাকা, ওয়াশিংটন ও অটোয়ার মধ্যে একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক খেলা হতে পারে।
মুজিবের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাংলোতে এক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা বিশ্বকে নাড়া দেয়। তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা বেঁচে যান। অভ্যুত্থানটি মধ্যম স্তরের সেনা অফিসারদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল।
ঢাকার সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীদের নেতৃত্বে সৈন্যদের চারটি দল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ঢাকায় প্রবেশ করে। প্রথম দলটি শেখ মুজিবের বাড়িতে প্রবেশ করে ও তর্কাতর্কির পর তাকে হত্যা করে। তারপরে তারা পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে পরিবারের একজন অন্তসত্ত্বা পুত্রবধূসহ ব্যক্তিগত কর্মীরাও ছিলেন।
অন্য দলগুলো সাভারে অবস্থানরত রেডিও স্টেশন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং নিরস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী দখল করে নেয়। আওয়ামী লীগের চার নেতা—বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী, সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে ঢাকা কারাগারে বন্দী করা হয় ও পরে কারাগারেই হত্যা করা হয়। বর্তমানে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
কিন্তু বিদেশে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপন অভিযানের আইনি পথ এড়িয়ে যাবেন না। ঢাকার উচ্চপদস্থ সূত্র বলেছে, কিছু গোপন কূটনৈতিক মিশন এই ঘাতকদের নির্মূল করার জন্য পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পদক্ষেপগুলো কার্যকর হয়নি।
আজিজ পাশার ঘটনাকেই উদাহরণ হিসেবে দেখুন। ঢাকা থেকে মিশনটি জিম্বাবুয়ের হারারেতে যাওয়ার পর দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে পাশাকে হস্তান্তরের জন্য নগদ ১ কোটি ডলার দাবি করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, টাকাগুলো মুগাবের মেয়ের পরিচালিত সেনেগালের একটি দাতব্য অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রচেষ্টায় লাভ হয়নি। এরপর মোসাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা খুনিদের ফেরানোর কাজে সহায়তার প্রস্তাব দিতে ঢাকায়ও এসেছিলেন। শেখ হাসিনা তাতে রাজি হননি।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা থেকে ফেরানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন
বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ আটচল্লিশ বছর পেরিয়ে গেছে এবং দুঃখজনকভাবে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। একজন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন কানাডায়। দেশদুটির আইন তাদের পক্ষে। শুধু রাজনৈতিক চাপের কারণে তাদের ফেরানো যাচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ মন্ত্রীরা বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই পলাতক সেনা কর্মকর্তাকে শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশের আইন ও বিচার মন্ত্রী আনিসুল হক সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার দেশ শেখ মুজিবের দুই খুনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ চৌধুরী ও কানাডা থেকে এসএইচবিএম নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর জন্য আলোচনা করছে। ঢাকা কর্তৃক নির্ধারিত আলোচনার শর্ত কী ছিল সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। আরেকজন আছেন মেজর শরিফুল হক ডালিম (হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী)। তিনি ইসলামাবাদ ও নাইরোবির মধ্যে চলাচল করেন এবং কেনিয়ায় কিছু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রক্রিয়াটি আরও কঠিন কারণ কানাডার আইন অনুযায়ী কোনো দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফেরত পাঠানোর নিয়ম নেই। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়াটি দুই দশকের বেশি সময় ধরে জটিল আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে। বিষয়গুলো গুরুতর প্রতিবন্ধকতা ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার প্রফেসর বীণা সিকরি বলেছেন, ‘যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং তাদের অপরাধ চূড়ান্তভাবে প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু যে দেশে এই তিনজন পলাতক অবস্থান করছে তারা কিছু গুরুতর, বৈশ্বিক চাপ না থাকলে এই ব্যক্তিদের হস্তান্তর করবে না। তার ওপর গুরুতর আইনি ঝামেলা তো আছেই। তবে আইনের বিকল্প রাস্তাও খোলা আছে। এটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া।’
মুজিব ও তার পরিবারের খুনিদের নিয়ে ঢাকায় কিছুটা সফলতা এসেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ও খুনিদের একজন আবদুল মাজেদকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার পর ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। তার দশ বছর আগে অন্য পাঁচজন দোষী— সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর করা হয়েছিল। আর আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতেই মারা গেছেন।
অবাক করার মতো ব্যাপার হলো ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আজ পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়ে গেছে। কাগজে কলমে বলা হয়, খুনিরা দীর্ঘ দিনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছিল কিন্তু ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ডরা এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। যে ঘটনায় মুজিব ও তার স্ত্রীসহ মোট ১৯ জন নিহত হন, এমন হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন।
হত্যাকারীদের মধ্যে কোনো অনুশোচনাও ছিলনা। কারণ তারা ১৯৭৬ সালের একটি টিভি সাক্ষাৎকারে (আইটিভি, লন্ডন) হত্যার কথা স্বীকার করেছিলেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্নেল রশিদ অন রেকর্ডেই দুঃসাহসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমি শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি। আমার বিচার করার সাহস আছে?
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে যে আন্ধা হুজুর নামে চট্টগ্রামের হালি শহরে একজন অন্ধ আলেম ছিলেন। তিনি শেখ মুজিবকে হত্যার পূর্বে রশিদ ও তার স্ত্রী জুবাইদা রশিদকে কুরআনের আয়াত শেখানোর মাধ্যমে এই অপরাধে সহায়তা ও প্ররোচনা দেন (অ্যান্থনি মাসকারেনহাস, বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ)।’ এই ধর্মগুরু অপরাধকে স্থায়ী করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অস্বীকার করতে পারবেন না।
মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি এসএইচএমবি নুর চৌধুরী নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করিনি।’ বর্তমানে তিনি কানাডায় আছেন। কয়েক বছর আগে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (সিবিসি) দ্বারা প্রচারিত একটি ফিচার সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন তিনি।
নুর সিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি কানাডার একটি আদালতে আবেদন করেছিলেন যাতে তাকে দেশে ফেরত না পাঠানো হয়। নূর চৌধুরী কানাডায় অভিবাসী সুরক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং বর্তমানে নির্বাসনের আদেশের মুখোমুখি হচ্ছেন। ১৯ নভেম্বর ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের একটি রায়কে বহাল রাখে। রায়ে নূর এবং অন্য ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী একমাত্র শুটার হিসেবে নূরকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। হত্যার অভিযোগে ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর পলাতক।
নির্ভরযোগ্যভাবে জানা গেছে, নূর কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং সম্প্রতি কানাডার একটি আদালতে তাকে যেন বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানো হয় সেই আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বলেছেন, কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ তাকে হস্তান্তর করলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডন টাইমস লিখেছিলয়, ‘শেখ মুজিবকে যদি এত মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের কোনো প্রয়োজন ছিল না।’ অন্যদিকে একই তারিখের বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদকীয়তে প্রথম বাক্যে লেখা হয়েছিল, ‘শেখ মুজিবের হত্যা একটি ঐতিহাসিক প্রয়োজন।’
কিন্তু এ ধরনের ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির এখন বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই, খুনিদের ফিরতেই হবে। তাদের আত্মগোপনের জায়গা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করছেন ঢাকার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও বুদ্ধিজীবীরা।
আগামী নির্বাচনের সব নির্ধারণ করা হবে
ডিবিসির নিউজের সম্পাদক জায়াদুল আহসান পিন্টু বলেছেন, ‘কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রচণ্ড পরিমাণে কিছু কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা দরকার। পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে এবং তার প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের পাকিস্তান ও কেনিয়া যেতে হবে।’
ঢাকার কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশের ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্রকারী, (দেশি ও বিদেশি উভয়), হত্যা ও খুনিদের খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করা উচিত ছিল।
পদ্মশ্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির সম্প্রতি একটি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, কূটনৈতিক চ্যানেল এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার সমস্ত প্রচেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের সব অনুরোধে কানাডা থেকে একই জবাব দিয়েছে। চৌধুরীকে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে এবং কানাডার আদালতে মৃত্যুদণ্ড বলে কিছু নেই। বিচার চাওয়া কি খুব অন্যায়, যখন খুনিরা নিজেরাই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে?’
বর্তমানে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকেই সবার মনোযোগ।
এনডিটিভি থেকে অনূদিত-
লেখক- সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান নিউজ, যুক্তরাজ্যের এশিয়া সম্পাদক