শিরোনাম
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ দেখে দারুণ আশাবাদী 'জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩' এর বিচারক প্যানেল। তরুণদের নানামুখী ও উদ্ভাবনী সব আইডিয়া দেখে শুধু অবাকই নন বরং দেশকে নিয়ে গর্ব বোধ করছেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধা এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মখদুম নার্গিস বলেন, আমি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প পরিচালক ছিলাম। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জুরি বোর্ডে যুক্ত হওয়ার পর তরুণদের কাজ দেখে আমি দারুণ আশাবাদী। আশা করি এভাবেই দেশ গঠনে এগিয়ে যাবে তরুণ সমাজ।
তার মতোই তরুণদের নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সাথে এবার আমি জুড়ি বোর্ডে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে যেটা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। আমি অনেকগুলো সংগঠনকে দেখেছি এখানে আবেদন করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে প্রত্যেকেই অনেক বেশি ক্যাপাবল। তারা যেভাবে খুব রুরাল এরিয়াতে কাজ করে যাচ্ছে, যেটা খুবই সিগনিফেকেন্ট- যা আমার কাছে মনে হচ্ছে, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে যাচ্ছে। এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। যারা উইনার হবেন তাদের প্রতি আমার অনেক বেশি অভিনন্দন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি, অ্যাক্টিভিস্ট এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, তরুণ প্রজন্ম আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে গ্রুম করা, তাদেরকে উৎসাহিত করা বড় দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকে অবশ্যই এই ইয়াং বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বড় ভূমিকা রাখছে, ভবিষ্যতেও রাখবে। আমরা যে সোনার বাংলা দেখতে চাই, সেটির অনেককিছুই এখনও অর্জন হতে বাকি। সেটা তৈরি করতে গেলে আরও সুদৃঢ় করতে গেলে, অবশ্যই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। খুবই আশার কথা- এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড রয়েছে এবং এটার বিষয়ে তরুণদের আগ্রহ রয়েছে। প্রথমবারের মতো জুরি বোর্ডে থাকতে পেরে খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করছি। উৎসাহিত বোধ করছি। ধন্যবাদ এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য।
একজন উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মালিহা মান্নান আহমেদ বলেন, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এর জুরি বোর্ডের আমি একজন মেম্বার। এই জুরি বোর্ডে যদি আমি আসতে না পারতাম, তাহলে আমি জানতাম না, আমাদের দেশের তরুণরা দেশের আনাচে-কানাচে কীভাবে নিজেদের উচ্ছ্বাসে দেশের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ তৈরি করে যাচ্ছেন। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আমি তথ্য নিয়ে কাজ করি, হেলথ ডেটা আমাদের হেলথ সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম, বিভিন্ন সেক্টরে স্কিল হোক, শিশু শিক্ষা হোক, নারী উন্নয়ন হোক সবক্ষেত্রে জনসচেতনতা নিয়ে কাজ করছেন। একটা হলিস্টিকভাবে তরুণরা চিন্তা করছে, তরুণরা কাজ করছে। এটা একটা দর্শনীয় ব্যাপার। জুরি বোর্ডে থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমারও জানা হলো, দেশের আনাচে-কানাচেত কত কাজ হচ্ছে। তাদের উদ্দীপনা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক জানান, এবারও জয় বাংলা ইয়ুর্থ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের কাজগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ইয়াং বাংলা দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একত্রে কাজ করবে সকল তরুণ।
সাংবাদিক ও আর্টিস্ট এলিটা করিম ইয়াং বাংলার সঙ্গে কাজ করে দারুণ অনুপ্রাণিত। তিনি বলেন, তরুণরা দেশকে নিয়ে যে এতটা ভাবছে, এতকিছু করছে আমার জানা ছিলো না। আমাকে এমন একটা প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ইয়াং বাংলা ও সিআরআইকে ধন্যবাদ। সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
আজ ১৮ নভেম্বর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পাবেন বিজয়ীরা। দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের স্বীকৃতি প্রদানে এই পুরষ্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু এবং পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ। এই ক্যাটেগরির আওতাভুক্ত যে সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক–সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা প্রদান।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।