শিরোনাম
যারা নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে তফসিল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সচিব।
বিএনপির নির্বাচনে না আসার ঘোষণার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, এ বিষয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। তাই আজকের সভায় এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
অপরদিকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন- ‘একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) অফিসে তালা...। বিএনপির অফিসে তালা...।’
এতটুকু বলতেই ওই সাংবাদিককে থামিয়ে দেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, এ বিষয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত না। কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলুন।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন ২৬তম সভায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করেছে। সেখানে কত তারিখে ভোটগ্রহণ শুরু হবে ইত্যাদি সব বলে দেওয়া হয়েছে। কারা কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন, কারা প্রিজাইডিং অফিসার হবেন, সে বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ থেকে ১৮টি নির্দেশনামূলক পরিপত্র জারি করতে হয়। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো কখন কীভাবে জারি করতে হবে, কীভাবে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেরা দায়িত্ব পালন করবেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা দায়িত্ব পালন করবেন- এসব বিষয়ে কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে।
আপনারা উত্তর না দিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে-এমন প্রশ্নে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। তফসিল অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের পদপ্রার্থিতা ঘোষণা করবে। মনোনয়ন দাখিল করবে, বাছাইয়ে উন্নীত হবে, প্রচারণায় যাবেন। তখন থেকে পদপ্রার্থীদের সব ধরনের সমতল অবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে পিছপা হবে না।
পুনঃতফসিলের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ভবিষ্যৎ কী হবে সেই প্রশ্ন যদি আজকে আমাকে করেন! নির্বাচনের অনেকগুলো ধাপ আছে। সব কার্যক্রম ধাপে ধাপে গ্রহণ করা হয়। আপনারা বলছেন, নির্বাচনের সময়ের বিষয়টা। এখন নির্বাচনের পূর্বকালীন সময়। তফসিলের সময় থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যখন যেটা প্রয়োজন হবে, কমিশন তখন সেই কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
এর আগে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে। এবার নির্বাচনে দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। আর ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার।
সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬-১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।