শিরোনাম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী তার কাজটি করছে এবং অনেক পেশাদার নিরাপত্তা বাহিনী। আপনারা দেখেছেন ২৮ অক্টোবর পুলিশের ওপরে... পিটিয়ে পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আনসারকে মারলো, পুলিশকে মারলো, পুলিশ চরম ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। এবং তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, আমরা সেইভাবেই আমরা আমাদের পুলিশ বাহিনীকে তৈরি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে পুলিশ বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে গিয়ে একটা সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে।'
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তফসিলের পরপরই সারাদেশে লাগাতার হরতাল। আপনারা কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তারা ১৪, ১৫ তে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, জঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছিল, একুশে আগস্ট গ্রেনেড দিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। অনেক কর্মকাণ্ড এখানে হয়েছে। সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল।'
তিনি বলেন, ‘এদেশের জনগণ আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কাজেই তারা নির্বাচনে ভরাডুবি খাবে, নির্বাচনে এদেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সেটা জেনেই তারা এই ধরনের করছে। মানে জনগণকে জিম্মি করে কখনো পোড়াচ্ছে, কখনো ভাঙচুর করছে, কখনো আমাদের পুলিশ হত্যা করছে, কখনো আবার আনসার হত্যা করছে, কখনো বা প্রধান বিচারপতির বাসায় ঢুকে ভাঙচুর করছে, কখনো হাসপাতলে ভাঙচুর করছে। এসব করছে কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইলেকশন এলে নিশ্চয়ই তো তারা জিততে পারবে না। সেজন্যই তাদের এ ধরনের অবস্থানে তারা যাচ্ছে।’
দেশে তো গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাই নেই। সংখ্যায় যদি ১ আর ৯৯ হয় তাহলে কি গৃহযুদ্ধ লাগে? গৃহযুদ্ধ লাগে ৫০-৫০ হলে। গৃহযুদ্ধ লাগার কোনো সম্ভাবনা নেই।’