জিম্মি করে বাড়ানো হচ্ছে পেঁয়াজের দাম 

ফানাম নিউজ
  ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬:০৮

কক্সবাজারে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিবহন ও শ্রমিকরা সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) টেকনাফ স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক বন্দরের কর্মকর্তা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আসা আমদানি পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া এবং শ্রমিকদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সচিব আরও বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে সেসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে। এ ছাড়া পচনশীল এই পণ্য বন্দর থেকে দ্রুত খালাস হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধের আশ্বাস দেন সচিব।

তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তির হাতে টেকনাফ স্থল বন্দরে শ্রমিকদের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তাও ৫ থেকে ৬ বছর এই ব্যক্তিই শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ শ্রমিকদের মজুরির ব্যবসা করছে। এখন এটা ওপেন টেন্ডার হওয়া দরকার। এ ছাড়া টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত পণ্য বোঝাই একটি ট্রাকের ভাড়া ৪০ হাজার টাকারও বেশি নেওয়া হচ্ছে। এটি কোন মতেই কাম্য নয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের ঘাটে ঘাটে বিভিন্ন ধরনের চাঁদা দিতে হয়। যে কারণে পেঁয়াজসহ আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

এর আগে বন্দরে পৌঁছালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তা ও টাস্কফোর্সের সভাপতি পারভেজ চৌধুরী ও টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে স্বাগত জানান। পরে সচিব বন্দর এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার জরুরি বলে দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। সচিব বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা পণ্য খালাসের পর স্ক্যানিং সুবিধা না থাকায় মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে দ্রুত একটি স্ক্যানার বসানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

বৈঠকে জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত দুই সপ্তাহে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। এর আগে মিয়ানমার থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ২ হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন। আগস্ট মাসে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।