শিরোনাম
যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে চলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চলেছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর রদবদলের অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। আর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেবেন ডেভিড ক্যামেরন।
ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে যাওয়ার পর ২০১৬ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্যামেরন। কিন্তু শোনা যায়, ২০১৮ সালে তিনি নাকি বন্ধুদের বলেছিলেন, তিনি আবারও প্রথম সারির রাজনীতিতে ফিরতে চান, বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে।
তারপর থেকে ক্যামেরন খুব কমই আলোচনায় ছিলেন। যদিও দুই বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় অর্থায়নের জন্য মন্ত্রীদের কাছে তদবির করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গ্রিনসিল ক্যাপিটাল নামে সেই আর্থিক সেবা সংস্থাটি এখন দেউলিয়া।
এরপর গত মাসে রিশি সুনাকের সমালোচনা করে আবারও শিরোনামে উঠে আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বার্মিংহাম-ম্যানচেস্টারের মধ্যে এইচএস২ হাইস্পিড রেললাইন বাতিল করা রিশির ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্যামেরনকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রিশি সুনাকের এই সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যপন্থিদের খুশি করতে পারে। ক্ষমতাসীন দলের এই অংশটি অভিবাসন, পুলিশিং এবং গৃহহীনতার মতো বিষয়ে সুয়েলা ব্রেভারম্যানের আক্রমনাত্মক ডানপন্থি নীতিতে হতাশ হয়ে পড়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত দলের ডানপন্থিদের ক্ষুব্ধও করতে পারে।