শিরোনাম
রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বুধবার সকাল ৬টায়। যা শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়। তৃতীয় দফার এ কর্মসূচি চলাকালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে প্রতি তিন ঘণ্টায় একটি করে যানবাহন এবং প্রতি চার ঘণ্টায় একটি করে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সাড়ে ৩৭ ঘণ্টায় ১৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে প্রতি তিন ঘণ্টায় একটি করে যানবাহন এবং প্রতি ৪ ঘণ্টায় একটি করে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকায় প্রায় ছয় ঘণ্টায় একটি করে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সারাদেশে ১৫টি আগুনের ঘটনার মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ, তাঁতীবাজার, কাকলী, মিরপুর, ধানমন্ডি, বারিধারা ও মাতুয়াইলে সাতটি, ঢাকা বিভাগের গাজীপুরে তিনটি, চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে একটি, রাজশাহী বিভাগের শিবগঞ্জ ও বগুড়ায় একটি, বরিশাল বিভাগের গৌরনদী ও বরগুনায় দুটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালীতে একটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৯টি বাস, ৪টি কাভার্ডভ্যান ও ২টি ট্রাক পুড়ে যায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পর দিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় দল দুটি। যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা গ্রেফতারও হন।
দ্বিতীয় দফায় ৫-৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮-৯ নভেম্বর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। তৃতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়। এরপর দুদিন বিরতি দিয়ে আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় আরও দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমানা দলগুলো।
এদিকে, ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় অবরোধ চলাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে গণপরিবহন ও বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।