শিরোনাম
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার আসামির নাম জানায়নি পুলিশ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জাবাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে গত শুক্রবার কনস্টেবল আমিরুল হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আনসার উদ্দিনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পুলিশ সদস্য আমিরুল হত্যার দিন ২৮ অক্টোবর রাতেই পল্টন থানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের এসআই মাসুক মিয়া।
পরদিন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা ওরফে শিন্টা শামীম এবং সুলতান নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পায় পল্টন থানা পুলিশ।
এছাড়া মামলাটিতে বরগুনা সদরের পুরিরখাল এলাকার শহিদুল্লাহ মুসুল্লী নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ২৮ অক্টোবর পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করেন। ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
সেসময় আমিরুল হক আত্মরক্ষার্থে ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। তাতে আমিরুল গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন। তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলোচিত এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন- বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, হাবিবুন নবী খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এস এম জিলানী, শামসুজ্জামান দুদু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তাবিথ আউয়াল, রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক, রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।