শিরোনাম
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষ ও ইসলামের জন্য আশীর্বাদ মন্তব্য করে বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা ছারছিনা দরবারের অন্যতম প্রধান আলেম মাওলানা ড. মুফতি মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জান্নাতি মানুষ।’
সোমবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘জাতীয় ইমাম সম্মেলনে’ তিনি এ কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ও আমিনবাগ জামে মসজিদের খতিব মুফতি কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী বলেন, ‘নবী-রাসূল, গাউস-কুতুব, অলি-আউলিয়াদের পথ ধরে আপনি এ বাংলার জমিনে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৫৬৪ মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম একজন স্মরণীয় শাসক হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) এ দেশের মানুষের জন্য এবং ইসলামের জন্য আশীর্বাদ।’
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এ আলেম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন জান্নাতি মানুষ। আপনি এ বাংলাদেশে একটি অবিস্মরণীয়, পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠতম উদাহরণ সৃষ্টি করে রেখেছেন। বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান আজ পর্যন্ত একই সঙ্গে ৫৬৪ মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছে এ রকম কোনো নজির, উদাহরণ নেই।’
ইমামরা শেখ হাসিনার সৈনিক মন্তব্য করে ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক এ অধ্যক্ষ বলেন, ‘আপনার ভয় নেই। আপনি এগিয়ে যান। লাখ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং খতিব আপনার পাশে আছেন। আপনি জানেন ইমামরা কিন্তু আপনার সৈনিক।’
তিনি বলেন, ‘এদের (ইমামদের) যেমন দোয়ার হাত আছে, তেমনি সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের মনমানসিকতা পরিবর্তনের ভাষাও আছে। কারণ মুসল্লিদের উপদেশ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তারা তা গ্রহণ করেন।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশন মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে মন্তব্য করে কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী বলেন, ‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সুচিন্তিত দিক-নির্দেশনায় এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সফল নেতৃত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নানাবিধ কর্মমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এরই মধ্যে মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে।’
এ সময় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান। এছাড়া বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রের তিনটি হলে বিপুলসংখ্যক আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, সারাদেশের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে ৮০ হাজার আলেম-ওলামা জড়িত। তাদের প্রতি মাসে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানি ভাতা দেয় সরকার। এ শিক্ষকরা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারাই মূলত এ সম্মেলনে যোগ দেন। এর বাইরে আরও ২০ হাজার ইমাম যোগ দেন।
একই অনুষ্ঠানে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর নৌকা নয়। নূহ (আ.) কিস্তি এটা। সেই নৌকা বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহ দান করেছেন। এ নৌকা দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ নৌকা দিয়েই আজকে আমরা উন্নতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছি বলেই আজ ৫৬৪ মডেল মসজিদ পাচ্ছি। দোয়া করবেন আগামী দিনেও প্রধানমন্ত্রী যেন একইভাবে দেশের খেদমত করতে পারেন। এ নৌকায় ভোট দিয়ে ওনাকে জয়যুক্ত করবেন।’
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্মবিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার ও মনোনীত সেরা ইমাম মাওলানা এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী।
এসময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি, জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।