শিরোনাম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষায়িত ইউনিট গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) ডিএমপির হার্ট বলে উল্লেখ করেছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমি নিঃসন্দেহে বলবো ডিএমপির ডিবি যে কোনো ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সবসময় এগিয়ে। আমি মনে করি, ডিবি অপরাধ দমনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের আস্থার প্রতীক হবে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলে।
সভায় ডিবির সব অফিসারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, মানুষ যেন ডিবিকে আস্থার জায়গা মনে করে। যে কোনো সমস্যায় মানুষ যেন ডিবির কাছে আসে এমন আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ছোট ঘটনাও অনেক সময় বড় ঘটনায় রূপ নেয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অবস্থায় কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত হওয়া যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিবি নয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধ নিয়ে গবেষণা করাও ডিবির কাজ। কোন বয়সের মানুষ কী জাতীয় অপরাধে বেশি জড়িত হয়, কোন এলাকায় কোন অপরাধে মানুষ বেশি জড়িত হয় এসব বিষয়ে গবেষণা করতে হবে।
অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতার জন্য কী কী করা যায় তা গবেষণার মাধ্যমে বের করতে হবে, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
মতবিনিময় সভায় ডিবির সাম্প্রতিক উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য সম্পর্কে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়। ডিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ডিএমপি কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন ও কিছু বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।