পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূলের আহ্বান বাংলাদেশের

ফানাম নিউজ
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১০

পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করে একটি নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলবিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন নি‌য়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উচ্চ পর্যায়ের সভায় দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পৃথিবীতে যতদিন পরমাণু অস্ত্র থাকবে, ততদিন আমরা কেউ নিরাপদ নই। কারণ পারমাণবিক অস্ত্র সারা বিশ্বে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তে মৃত্যু ও ধ্বংস ঘটায়। কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলই মানবজাতির এই হুমকির বিরুদ্ধে সুনিশ্চিত সমাধান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের সাধারণ ও সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির বাস্তবায়নের প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি চুক্তির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রথম বৈঠকে এতে গৃহীত রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র এবং ৫০ দফা কর্মপরিকল্পনাকে স্বাগত জানান।

পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র ও নিউক্লিয়ার আম্ব্রেলা রাষ্ট্রসহ সব রাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বিধ্বংসী অস্ত্রগুলো পরিচালনা করার বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসবাদী বা অন্য অননুমোদিত অপশক্তির হাতে পারমাণবিক অস্ত্র পড়ার ঝুঁকি এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় অধিকতর বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মানবজাতির স্বার্থে এর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্বেষণের আহ্বান জানান মো‌মেন।

তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বন্ধ করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রকল্পে ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি লালন, পরমাণুমুক্ত বিশ্বের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা পুনরায় যেন শুরু করা হয় সেবিষয়টিও খেয়াল রাখা জরুরি।

সভায় বিভিন্ন দেশের উপ-রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।