শুধু মবিন-তৈমূর নয়, আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালাবেন: তথ্যমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৭

শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার নয়, আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার সেখানে (তৃণমূল বিএনপি) যোগদান করেছেন। আরও অনেকেই বিএনপি থেকে পালিয়ে আসবেন, একটু অপেক্ষা করুন। আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালিয়ে আসবেন। কারণ যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যে দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সে দল তো সবাই করবে না। সুতরাং শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার নয়, আরও বহুজনই আসবেন, একটু অপেক্ষা করুন, দেখবেন।

মির্জা আব্বাস বলেছেন, সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন, এতে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্বাস এটা গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে বলছেন, নতুন কিছু নয়। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি চায়, সেটা তো সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছিল, একটু পেছনের দিকে তাকালেই সেটা দেখতে পাবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যদি একটু পেছনে ফিরে তাকান, তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন, তারা কী পরিমাণ নির্যাতন ও অত্যাচার আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর করেছিল।

তিনি বলেন, তারা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করেছিল। দেশের একজন নাগরিক ও রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করেছিল। তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে আমাদের দলের এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছিল। শেখ হেলাল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়েছিল। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের জনসভায় একটি পটকাও ফোটেনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পাশে স্থায়ীভাবে কাঁটাতারের বেড়া থাককো। সেখান থেকে বের হওয়া যেতো না। মির্জা ফখরুলকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বিনীত অনুরোধ জানাই। সেই তুলনায় কোনো নির্যাতন তাদের ওপর করা হচ্ছে না। এতেই প্রমাণ হয়, সরকার কোনো নির্যাতন চালাচ্ছে না।