নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ডেরেক শোলের বৈঠক

ফানাম নিউজ
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৫৪
আপডেট  : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:০০

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি নিয়ে সোমবার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক শোলে বৈঠক করেন।

বৈঠক সম্পর্কে ডেরেক শোলে তার এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্বের ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শোলে ঢাকা সফর করেন। 

নিউইয়র্কে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। এ সম্পর্ককে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও জোরদার ও মজবুত করতে চান। একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদের অনেক পরামর্শ গ্রহণ করেছি। পরামর্শ বাস্তবসম্মত হলে আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করব। 

ড. মোমেন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসি একটি আইনের আওতায় গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেন না। 

তিনি আরও বলেন, এমনকি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনো সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে। তিনি বলেন, ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সম্পর্কে মোমেন বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবে, তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য ভালো, কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বিঘ্নিত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।