শিরোনাম
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ, ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম এবং নতুন নতুন অপরাধ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সাইবার ক্রাইম, মানিলন্ডারিং, জাল মুদ্রা, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ইত্যাদি অপরাধ মোকাবিলা বিশ্বব্যাপী পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে এক চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক অপরাধের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সনাতনি পুলিশিংয়ের পরিবর্তে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট পুলিশিং অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (পিএসসি) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে (আইসিসি) ‘কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট পুলিশিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিবি এ কথা বলেন।
পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার প্রিন্সিপ্যাল মীর রেজাউল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন পিএসসির এমডিএস (অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ) এস এম আক্তারুজ্জামান। কর্মশালায় স্মার্ট পুলিশিংয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমডিএস মো. মতিউর রহমান শেখ ও মো. গোলাম রসুল।
ওয়ার্কশপে বাংলাদেশ পুলিশের সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুলিশ স্টাফ কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি রাজারবাগে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ অনুষ্ঠানে স্মার্ট পুলিশিংয়ের কথা ঘোষণা করেন। পুলিশিংয়ে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সন্ত্রাস, উগ্র জঙ্গিবাদ এবং প্রযুক্তি নির্ভর অন্যান্য অপরাধ দমনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতে পুলিশের এ সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।”
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আজকের ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ পুলিশের জন্য উপযোগী একটি স্মার্ট পুলিশিং কারিকুলাম প্রণয়নে সহায়ক হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, “পিএসসি স্মার্ট পুলিশিং অনুশীলনের জন্য একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'স্মার্ট পুলিশিং' সম্পর্কিত কারিকুলামের খসড়া প্রণয়ন করেছে, যা এ ওয়ার্কশপের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।”