শাহজালালে র‌্যাপিড মেশিনে করোনা পরীক্ষার চিন্তা

ফানাম নিউজ
  ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৩৭

সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী (ইউএই) প্রবাসীকর্মী ও যাত্রীদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুততম সময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরির পাশাপাশি র‌্যাপিড-পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষার চিন্তাভাবনা চলছে।

এরই মধ্যে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা ছয়টির মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান দেশে প্রথমবারের মতো তিনটি র‌্যাপিড মেশিন আমদানি করেছে। এরই মধ্যে বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে মেশিনগুলোতে কিছু সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে র‌্যাপিড মেশিনে পরীক্ষার ব্যাপারে কথা হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কারিগরি কমিটি এ মেশিনে পরীক্ষা করা বা পরীক্ষার ফি কত হবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

তারা জানান, দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে র‌্যাপিড মেশিনে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। সম্প্রতি দুটি প্রতিষ্ঠানে তিনটি মেশিন আমদানি করেছে। দ্রুততম সময়ে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হয় বলে এটি ব্যয়বহুল। ইউএইতে প্রবাসীকর্মীদের একেকজনের র‌্যাপিড টেস্ট করতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এ খরচ দিচ্ছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে এটি চালু হলে কতগুলো মেশিন লাগবে ও খরচ কত হবে তা চিন্তাভাবনা করে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির পরামর্শক্রমে তা চালু হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আরটি-পিসিআর মেশিনে একসঙ্গে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা গেলেও র‌্যাপিড মেশিনে স্লট (একসঙ্গে ৪টা ও ১৬টা) খুব কম। দ্রুততম সময়ে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হলেও প্রতিদিন কয়েকহাজার যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে ইউএইগামী ২ হাজার ৬৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে মাত্র ১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

গত ২৯ আগস্ট থেকে বিমানবন্দরে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৬টি প্রতিষ্ঠান ইউএইগামী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে করোনার নমুনা পরীক্ষা করছে। প্র্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২০ হাজার যাত্রী ইউএই গেছেন। তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংই প্রবাসীকর্মী।

র‌্যাপিড-পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারিগরি কমিটির সদস্যরা অনুমোদন ও পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে অনুমতি দিলে তবেই র‌্যাপিড মেশিনে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হলেও এতে একসঙ্গে বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যায় না। এছাড়া এটি ব্যয়বহুল।

সূত্র: জাগো নিউজ