শিরোনাম
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করে দেওয়ার কথা বলেছেন হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টকে এতে রাখা হতে পারে। এ বিষয়ে বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।তিনি বলেন, আদালত যে কমিটি গঠন করে দেবেন তাদের কাজ হবে ইভ্যালির দায়-দেনা নিরূপণ করা ও সব বিষয় মনিটরিং করা। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনএম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ব্যাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস বল।
এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই বেঞ্চে এসব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়। ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় ওই আদেশ দেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না- তা জানতে চান আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, ফরহাদ হোসেন নামের এক গ্রাহক গত মে মাসে ইভ্যালিতে একটি ইলেকট্রনিক পণ্য অর্ডার করেন। অর্ডারের সময়ই পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। বিনিময়ে ইভ্যালি তাকে একটি রশিদ দেয়। অর্ডার দেওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পণ্যটি তাকে হস্তান্তর করেনি ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু টাকা রিফান্ড বা পণ্য কোনোটিই না পেয়ে অবশেষে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে ওই গ্রাহক ইভ্যালির অবসায়ন চান।
সূত্রঃ যুগান্তর