শিরোনাম
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি সদস্য ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সবাই নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে পুলিশপ্রধান সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন। যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি বলেন, যারা এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এবং ঘটনার মাস্টারমাইন্ড প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পলাতক জঙ্গি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে। শিগগির তাদের গ্রেফতার করা যাবে।
হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ সদস্যদের চোখে-মুখে তারা (জঙ্গি) স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রাজধানীর অলি-গলিতে চেকপোস্ট স্থাপন করেছি এবং তল্লাশিও চলছে। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ২০ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পালানোর চেষ্টা করা দুই জঙ্গিসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সবকিছু মিলিয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশ মহাপরিদর্শক সতর্কতা জারি করেছেন। আসামিরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। আশা করছি, তাদের যে কোনো সময় গ্রেফতার করতে পারবো।
আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, পুলিশের যারা দায়িত্বে ছিলেন, দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে ডিএমপি কমিশনার ইতোমধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছেন।
জঙ্গি আনা-নেওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার না থাকার কারণেই কী জঙ্গিরা এমন সুযোগ কাজে লাগিয়েছে? এই ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হওয়ার বিষয়ে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রটেকশন থাকে। এর মধ্যে গতকাল একটি ঘটনা ঘটেছে এখানে অবহেলার কারণেই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোর্ট এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে এবং জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রটেকশন রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন, কোর্ট এলাকায় যাতে আরও বেশি পরিমাণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোর্টে জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।