রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি বসতে যাচ্ছে রোববার 

ফানাম নিউজ
  ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫৩

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বসছে প্রথম ইউনিটের বহুল প্রতীক্ষিত পারমাণবিক চুল্লি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। এটাকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃৎপিণ্ড বলা হয়। আগামীকাল রোববার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের এটি উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোসাটম (রাশিয়ান এটোমিক এনার্জি সংস্থা) ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য এই রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেলটি রাশিয়া থেকে পানি পথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে দেশে পৌঁছে। সেটি স্থাপনের জন্য এক বছর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়। রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে মূল জ্বালানি থাকবে।

আরও জানা যায়, পারমাণবিক চুল্লির পাত্রটির ওজন ৩৩৩.৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে মংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে নৌপথে ঈশ্বরদীর পাকশীর পদ্মানদী হয়ে রূপপুরে আনা হয়েছে।

এদিকে চুল্লি স্থাপনের কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ঈশ্বরদী রূপপুর প্রকল্পে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ড. সৌকত আকবর, রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট হয়। একই বছর জাতীয় সংসদে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশ অ্যাটোমিক এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট পাস করা হয়। ২০১৩ সালে এই বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: আরটিভি