শিরোনাম
বিমানবন্দরে কোভিড টেস্টের কারণে কোনও প্রবাসী কর্মীর ফ্লাইট মিস হলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান। এক্ষেত্রে ফ্লাইট মিস হওয়া ব্যক্তির টিকেট রি-ইস্যু থেকে শুরু করে তার হোটেলে থাকা-খাওয়া এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হয়েছে; যা আগামী সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, গতকাল (বুধবার) একটি মিটিং হয়েছে। যদি টেস্ট ডিফল্ট করে তাহলে কী হবে... মারা যাবে তো আমাদের গরীব মানুষ। কারও যদি ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে সেই কর্মীর আবার দেড়-দুই লাখ টাকা খরচ হয়ে যাবে। এজন্য একটা শক্ত পেনাল্টির ব্যবস্থা থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কমপক্ষে ৮০ জন যাত্রী বিমানবন্দরে এসে করোনা পরীক্ষা করেও সময়মতো রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে ফ্লাইট ধরতে পারনেনি। বোর্ডিং কাউন্টার ক্লোজ হওয়ার পর বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ায় তারা ফ্লাইট ধরতে পারেননি বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।
দেশের আরও দুটি বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট চালু করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টেস্ট শুরু করার ক্ষেত্রে ঢাকাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি কারণ এখান থেকে ফ্লাইটগুলো চালু আছে। চট্টগ্রামে এখনও ফ্লাইট চালু হয়নি। ফ্যাক্ট হচ্ছে- যেহেতু টেস্টের সুবিধা নেই সেহেতু এয়ারলাইন্সগুলো চালু করতে পারছে না। আমি আশা করি চট্টগ্রাম এবং সিলেটের বিমানবন্দরে যদি টেস্টের ব্যবস্থা হয়ে যায়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেখান থেকে ফ্লাইট চালু হয়ে যাবে। যার ফলে সেসব অঞ্চল থেকে তাদের টাকা খরচ করে আর ঢাকায় আসতে হবে না।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি সেখান থেকে হয়তো কোনও একটা ব্যবস্থা হবে। তারা জানালেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ওই চিঠিতে আরটি-পিসিআর টেস্টের কারণে ফ্লাইট যাতে মিস না হয় সেজন্য র্যাপিড পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন