শিরোনাম
গত ১০ বছরে দেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বছরে ১০৪টি হারে ডিমের প্রাপ্যতা জনপ্রতি ১০৪.২৩টি। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি এবং ২০১৯-২০ সালে এ পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটিতে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে সারাবিশ্বে যেখানে ডিমের উৎপাদন ছিল ৬১.৭ মিলিয়ন টন সেখানে ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৬.৭ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে মাত্র এক দশকের ব্যবধানে ডিমের উৎপাদন প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে হাঁস-মুরগরি উৎপাদন দ্বিগুণ করা এবং ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পর্দাপণের নিমিত্ত অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী (২০২০-২০২৪) পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০ মি.লি, ১৫০ গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ৩০০মিলি, ১৬০গ্রাম এবং ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ৮ অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ বছর ডিম দিবসের স্লোগান দেওয়া হয়েছে ‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’। সূত্র: জাগো নিউজ