শিরোনাম
এবার ফাইজারের টিকা ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা-পৌরসভায় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম। তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮২ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৫ লাখ করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসাবে সপ্তাহে ৩০ লাখ এবং মাসে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দিলেও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ফাইজার টিকা সংরক্ষণের বিষয়ে হেলথ ডিজি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত সক্ষমতা আছে। যে সমস্ত জায়গায় ফাইজারের টিকা দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই আমরা দিচ্ছি। আল্ট্রা কোল্ড চেইনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ন্যূনতম সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। যেভাবে টিকা আসছে তাতে সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হবে না। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে আমরা ২৬টি আল্ট্রা লো ফ্রিজার পেয়েছি। সামনে আরও টিকা আসবে।
ইপিআইয়ের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত দেশে ফাইজারের ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৯১০ ডোজ টিকা এসেছে। সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে ৭৮ লাখ টিকার।